ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের শাসন থেকে মুক্ত উচ্ছ্বসিত সিরিয়ানদের মূর্তি ভাঙার ছবি দেখার এবং বন্দীদের আনন্দধ্বনি শোনার সময় ভালো না লাগাটা কঠিন। বন্দিশালায় এদের অনেকেই হয়তো অত্যাচারিত ও ক্ষুধার্ত ছিলেন। এখন অন্ধকূপ থেকে তাঁরা মুক্তি পেয়েছেন। বাশার আল-আসাদের সিরিয়া বিরোধীদের জন্য নৃশংস ছিল। ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধ ও চৌর্যবৃত্তির শাসনে সিরিয়ার সাধারণ নাগরিকদের জীবন বিপজ্জনক ও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। মানুষের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত হওয়া ঠেকানোর পাশাপাশি বাশার আল-আসাদের পতন মধ্যপ্রাচ্যের দাবা বোর্ড থেকে ইরান-সমর্থিত, আমেরিকা-বিরোধী এবং ইসরায়েল-বিরোধী একনায়ককে সরিয়ে দিল।
এত কিছুর পরেও অস্বস্তি বোধ না করাটাও কঠিন। ২০০১ সালে তালেবানের সহিংস শাসন থেকে মুক্ত হওয়া আফগানদের এবং সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর ২০০৩ সালে উল্লসিত ইরাকিদের অনুরূপ চিত্র দেখার পর আজ সিরিয়াবাসীর গভীর স্বস্তির মধ্যে কেউ কেউ অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। কারণ, না জানি আগামীকাল নতুন কোনো ভয়াবহতার মুখোমুখি হতে হয়!