ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিনিময়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে উচ্চাভিলাষী প্রতিরক্ষা চুক্তির যে আশা ছিল, সৌদি আরব তা ত্যাগ করেছে এবং এখন আরও সীমিত সামরিক সহযোগিতা চুক্তির দিকে এগোচ্ছে। সৌদি আরব এখনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে। তবে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে বিষয়টি কোন দিকে যাবে এবং রিয়াদ কোন পথে হাঁটবে তা মূলত নির্ভর করছে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) ওপর। সৌদি আরব ও পশ্চিমা বিশ্বের চার কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
চলতি বছরের শুরুতে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক নিরাপত্তা চুক্তি অর্জনের প্রচেষ্টায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে তাদের অবস্থান নমনীয় করে। রিয়াদ ওয়াশিংটনকে জানায়, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে দুই রাষ্ট্র সমাধানে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে তারা সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারে।
তবে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ডে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তীব্র জনরোষের কারণে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আবারও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েলের বাস্তব পদক্ষেপকে—সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টিকে শর্ত হিসেবে সামনে রেখেছেন। দুটি সৌদি ও তিনটি পশ্চিমা সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।