বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ বাবা-মা বা দাদা-দাদি কিংবা নানা-নানি মনে করেন যে, শিশুরা তাদের যথাযথ শ্রদ্ধা করে না। তারা মনে করেন, আগের তুলনায় এখনকার শিশুরা বড়দের প্রতি কম শ্রদ্ধা দেখায়। আর এজন্য দায়ী করা হয় পারিবারিক কাঠামো ও লালন-পালনের পরিবর্তিত পদ্ধতিকে।
গত কয়েক দশকে শিশুদের শেখানো হতো কাকে অবশ্যই সম্মান বা শ্রদ্ধা দেখাতে হবে। যার মধ্যে ছিলেন বাবা-মা, শিক্ষক; এমনকি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরাও। তাদের শেখানো হতো, বড়দের সঙ্গে কথা বলার সময় প্লিজ বা অনুগ্রহ করে শব্দের প্রয়োগ করতে। কাজ শেষে ধন্যবাদ দিতে এবং তাদের যথাযথ সম্বোধন করতে। আবার বড়দের বা গুরুজনদের পাল্টা প্রশ্ন করা যাবে না, এমন রেওয়াজও ছিল।
সাধারণত পরিবারের সবাই মিলে রাতের খাবার খাওয়ার সময় পরীক্ষা করা হতো যে ছোটরা ঠিকঠাক শিষ্টাচার শিখেছে কি না, তারা সবার সঙ্গে সঠিক ব্যবহার করছে কি না।
আধুনিক সময়ে সবচেয়ে পার্থক্য এসেছে পারিবারিক কাঠামোতে। তখন অর্থনৈতিক চাপ তুলনামূলক কম থাকায় বাবা-মা দুজনের মধ্যে অন্তত একজন সন্তানদের সঙ্গে সারাদিন থাকতেন। তিনি সন্তানদের যথাযথ আচরণ শেখাতেন, পরিবারের সদস্যদের কীভাবে সম্মান করতে হবে তার পাঠ দিতেন।