ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা কক্সবাজার—প্রায় সব শহরেই তারকা হোটেলের ব্যবসা বড় ধাক্কা খেয়েছে। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের হোটেলগুলোর ব্যবসা কমেছে। কোনো কোনো হোটেলের মুনাফা কমে গেছে, আবার কোনো কোনো হোটেল লোকসানে পড়েছে। এ ছাড়া আগেই যেসব হোটেল লোকসানে ছিল, তাদের লোকসানের পরিমাণ বেড়েছে।
শেয়ারবাজারে ভ্রমণ খাতের, তথা হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকার পাঁচ তারকা মানের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল, লা মেরিডিয়ানের মালিক প্রতিষ্ঠান বেস্ট হোল্ডিংস, ওয়েস্টিন ও শেরাটনের মালিকানায় থাকা ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, চট্টগ্রামের পেনিনসুলা হোটেল ও কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট। এসব হোটেল গত জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সম্মিলিতভাবে ১২৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। গত বছরের একই সময়ে তাদের আয় ছিল ২৭২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সেই হিসাবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত ব্যবসা কমেছে প্রায় ১৪৪ কোটি টাকা বা ৫৩ শতাংশের মতো।
এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল, চট্টগ্রামের পেনিনসুলা ও কক্সবাজারের সি পার্ল গত জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে লোকসান করেছে। ঢাকার বেস্ট হোল্ডিংস ও ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট মুনাফা করলেও তা আগের বছরের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। কোম্পানিগুলোর জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এসব হোটেল পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, গত জুলাই–আগস্টে দেশজুড়ে ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় পর্যটন ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এ সময় তারকা হোটেলগুলোয় বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও বিদেশি অতিথির যে আগাম বুকিং ছিল, তা–ও বাতিল হয়ে যায়। ফলে এই দুই মাসে বেশির ভাগ তারকা হোটেল ছিল অতিথিশূন্য। যার প্রভাবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে হোটেল ব্যবসায় বড় ধরনের ধাক্কা লাগে।