ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির কী প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশে

প্রথম আলো আসজাদুল কিবরিয়া প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪০

১১ বছর আগের কথা; ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) স্বাক্ষর করে। এর পাঁচ মাস আগে ২৮ জুন বাংলাদেশকে দেওয়া জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) সুবিধা স্থগিত ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের ওবামা সরকার। দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে অল্প সময়ের ব্যবধানে এ দুটি ঘটনা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।


জিএসপি–সুবিধা স্থগিতকরণ টিকফা স্বাক্ষরকে ত্বরান্বিত করেছিল বলে ধরা যায়, যদিও তার আগে প্রায় এক দশক ধরে এ রকম একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলেছে। প্রথমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ রূপরেখা চুক্তি (টিফা) করার উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০০২ সালে, শেষতক তা টিকফায় রূপ নেয়।


তবে জিএসপি স্থগিতকরণ ও টিকফা স্বাক্ষরের এক দশকের বেশি সময় পর এসে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক একটি নতুন মাত্রায় উপনীত হয়েছে। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতি যখন নিশ্চিতভাবেই সংরক্ষণমূলক হয়ে উঠবে, তখন বাংলাদেশকেও ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে সমন্বয় করার বিষয়টি ভাবতে হবে।


উচ্চ শুল্কের পথে যুক্তরাষ্ট্র


প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারকালে ট্রাম্প স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে তিনি নির্বাচিত হলে চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ হারে শুল্কারোপ করবেন। অন্য দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানির ওপরও ১০ থেকে ২০ শতাংশ হারে শুল্কারোপ করা হবে বলে ঘোষণা দেন। এ ছাড়া মেক্সিকোর সরকার যদি সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অভিবাসী প্রবেশের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা না করে, তাহলে মেক্সিকোর ওপরও ২৫ শতাংশ হারে শুল্কারোপ করতে দ্বিধা করবেন না ট্রাম্প।



নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ট্রাম্প এখন বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগের জন্য তাঁর পছন্দের লোকজন বাছাই করছেন। পাশাপাশি আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই শুল্কারোপের কাজ শুরু হয়ে যাবে তা নিশ্চিত। এ ক্ষেত্রে ট্রাম্প আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের যে বিশেষ ক্ষমতা আছে, সেই নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন যেন দ্রুত শুল্কারোপ করা যায়।


মজার বিষয় হলো, ২০১৭-২০২০ মেয়াদে ট্রাম্প সেসব উচ্চ শুল্কারোপ করেছিলেন, ২০২১-২০২৪ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তা প্রায় পুরোটাই বহাল রেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ট্যাক্স ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুসারে, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ট্রাম্প প্রশাসন হাজারখানেক পণ্যের ওপর ৩৮ হাজার কোটি ডলারের আমদানি শুল্কারোপ করেছিল। এর ফলে দেশটির নাগরিকদের ওপর আট হাজার কোটি ডলারের বাড়তি করের বোঝা চাপে।


ট্রাম্প নিজেকে ‘ট্যারিফ ম্যান’ বলে অভিহিত করেছেন প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার সময়ই। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন যে নিম্ন হারের বা শূন্য হারের আমদানি শুল্কের কারণে তিন দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়েছেন, লাখ লাখ শ্রমজীবীর মজুরি তেমন বাড়েনি বরং সমাজে বড় ধরনের আয়ের বৈষম্য তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলো তাদের রপ্তানি বাড়ানোর দিকে যতটা মনোযোগী হয়েছে, নিজ দেশের জনগণের জীবনমান বাড়ানোয় ততটা নজর দেয়নি। এসব দেশের শিল্পনীতিও সেভাবে প্রণীত ও বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে ক্রমাগত বড় ধরনের বাণিজ্য–ঘাটতি মোকাবিলা করে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


ট্রাম্পের সময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) রবার্ট লাইটথাইজার এবারের নির্বাচনের কয়েক দিন আগে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের (২ নভেম্বর ২০২৪) এক নিবন্ধে এ বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us