কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে অসুস্থ মাকে নিয়ে রাজধানীর মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে এসেছিলেন ইদ্রিস আলী (৩৫)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে এসেছিলেন। বেলা ১১টার মধ্যেই ডাক্তার দেখানোর কাজ শেষ হয়। এর পর থেকেই বিপত্তি। বেশ খানিকটা সময় অপেক্ষার পর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা পেয়েছিলেন। কিন্তু মহাখালীতেই ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের ডাকা সড়ক অবরোধের মুখে পড়েন।
অনেক অনুনয়-বিনয় করার পর তাঁরা ইদ্রিস ও তাঁর মাকে বহন করা অটোরিকশা ছেড়ে দেন। কিন্তু এদিকে বসিলা সড়কও আটকে রেখেছেন ওই চালকেরাই। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে যখন মোহাম্মদপুরের আল্লাহ করিম মসজিদ পর্যন্ত আসেন, সেখানে আবার সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটকে দেন চালকেরা। কোনোক্রমেই এবার আর ছাড়া পাননি ইদ্রিস। তাই অসুস্থ মাকে কাঁধে ভর দিতে বলেন তিনি। এভাবেই ছেলের কাঁধে ভর দিয়ে অনেকটা পথ হাঁটতে হয় মাকে। বাধা পেরিয়ে বেশ খানিকটা পথ হেঁটে আবার একটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে ঘাটারচরের দিকে রওনা হন তিনি।
আজ সকাল থেকেই রাজধানীর বসিলার চৌরাস্তার পুরো জায়গা ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা অবরোধ করে রেখেছেন। এসব স্থান দিয়ে চলা সব রকমের যানবাহন তাঁরা আটকে দিয়েছেন। শুধু বসিলা নয়, এমন অবরোধ চলে মহাখালী, আগারগাঁওসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায়।
বসিলায় রাস্তা অবরোধ করায় গাবতলী থেকে আমিনবাজারের দিকে যেতে পারছেন না কেউ। মোহাম্মদপুর থেকে কেরানীগঞ্জের দিকে যাওয়ার সেতুও বন্ধ। এসব রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ, স্কুলগামী শিক্ষার্থী, বিভিন্ন বয়সী ব্যক্তি, রোগী—সবাই পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।