২০০৯ সালের কথা। রাজ তখন শিক্ষার্থী। মূলত পড়াশোনার জন্যই সিলেট থেকে ঢাকায় আসেন। এই শহরটা ভালো লেগে যায় এই তরুণের। কিন্ত ব্যস্ত এই শহরে জীবনযাপনের খরচও আছে। আর্থিক সংকট তাঁকে এক বছরও টিকতে দেয়নি এই শহরে। নারায়ণগঞ্জে মামার কাছে চলে যান। সেই সময় জীবনটা অন্য দিকে মোড় নিতে পারত। রাজ হারিয়ে যেতেন হয়তো হাজার তরুণ, যুবকের ভিড়ে। কিন্তু তা হয়নি। গল্পটা আবার শুরু হয়।
পরের বছরই আবার ঢাকায় ফিরে আসেন, ভর্তি হন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। দিনে ক্লাস, সন্ধ্যা হলেই ধানমন্ডি ৮ নম্বরে আড্ডা—এভাবেই কাটছিল জীবন। একটা সময় আর্থিক সংকটে লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। বন্ধু হাবিব তাঁর মেসে জায়গা দেন রাজকে। শুরু হয় এক ঘরে ১৫ জন ঠাসাঠাসি করে থাকা। রাজ বলেন, ‘সে এক কঠিন সময়। বন্ধুর কল্যাণে মেসে থাকার জায়গা হলো। ১৫ জন একসঙ্গে থাকি। পকেটে টাকা নেই। পড়ালেখা বন্ধ হয় হয় অবস্থা। কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তখন পরিবারের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার সুযোগটাও ছিল না। দিশাহারা অবস্থা আমার।’