যেকোনো সরকারেরই প্রথম ১০০ দিনের কাজের অর্জন থাকে, লক্ষ্যমাত্রাও থাকে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজকর্মে সে রকম কোনো অর্জন ধরা পড়ছে না। কারণ, তাদের নিশানা ও কাজের মনোযোগে ঘাটতি যত না দোষের, তার চেয়েও বেশি সমালোচিত তাদের উদ্দেশ্যাবলির বিক্ষিপ্ততা।
সরকারের ভেতরেই তিনটি ধারার দর্শন প্রবহমান। একদল উপদেষ্টা মনে করছেন, কিছু সংস্কার শেষ করে এক অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দেওয়াই তাঁদের কাজ; যদিও এই দল সবচেয়ে দুর্বল ধারা।
দ্বিতীয় সম্প্রদায় মনে করছে, একটি বৈপ্লবিক ধারায় দেশকে নিয়ে তঁাদের মনমতো প্রজাতন্ত্রের পুনঃসংজ্ঞায়ন সম্ভব। তাঁরাই ঠিক করবেন নির্বাচনে কাকে রাখবেন, কাকে রাখবেন না। তৃতীয় ধারার উপদেষ্টারা কিছুটা বিভ্রান্ত এবং দীর্ঘমেয়াদি কোনো কাজে যুক্ত হতে চাইছেন না। কারণ, তাঁদের মেয়াদ যে কতটুকু, তা তাঁরা নিজেরাই বুঝতে পারেন না। এই ত্রিমুখী অনিশ্চয়তা অর্থনীতিকে আরও সংকটাপন্ন করবে।