আমাদের ব্যাংক খাত একটা কঠিন চড়াই-উতরাই পার হচ্ছে। ১০-১৫ বছর ধরে এ সেক্টরে অনিয়ম, অরাজকতা আর দুর্নীতির জোয়ার চলেছে। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে সেই জোয়ার সুনামিতে পরিণত হয়েছিল। সেজন্য আজকে আমাদের ব্যাংক সেক্টর অনেক নাজুক এবং অনেক দুর্বল।
আর ব্যাংক সেক্টরটা আমাদের দেশের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ সেটা আপনারা সবাই জানেন। আমার পূর্ববর্তী বক্তা যেটা বললেন যে যেহেতু আমাদের পুঁজিবাজার অনেকটা অকার্যকর অবস্থায় আছে সেজন্য আমাদের ব্যাংক সেক্টর আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা এটা ছাড়া এ দেশে কোনো অর্থায়নই হয় না। তো আশার কথা হলো, এ সুনামি প্রতিরোধ করা হয়েছে, থামানো হয়েছে। আমি মনে করি যে আমরা খুব দক্ষ, নিরপেক্ষ ও সৎ একজন গভর্নর পেয়েছি। এতে আস্তে আস্তে এখানে অনেকটা স্বস্তি ফিরে আসছে।
বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যেসব সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে যেমন সুদহার, বিনিময় হার সম্পর্কিত নীতিমালা প্রভৃতি গ্রহণ করা হয়েছে তা আশা জাগাচ্ছে। আবার এটাও সত্য এতে অনেকেই খুশি না। কারণ আমাদের দেশে সবাই স্বীয় স্বার্থ উদ্ধার করতে চায়। এজন্য তারা এসবের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এজন্য প্রথমেই আমাদের এ স্বার্থগোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে, অর্থনীতিকে বাজারভিত্তিক অর্থনীতি হতে হবে। এরই মধ্যে আমাদের বিনিময় হারে, ব্যালান্স অব পেমেন্ট ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্থিতিশীলতা এসেছে সেটা কিন্তু এই দুই-তিন মাসের মধ্যেই এসেছে। এখন আমাদের রেমিট্যান্স যে এত বাড়ছে এবং প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এগুলো সঠিক সামষ্টিক অর্থনীতির নীতিমালা যথাযথ সময়ে প্রণয়নের জন্য।