“কোটা প্রথা বাতিল হলে মেধায় একটা ভালো সরকারি চাকরি হবে। চাকরি হলে বাবা-মার দুঃখ-কষ্ট লাঘব হবে। আন্দোলন সফল হয়েছে কিন্তু আমার ছেলের স্বপ্ন পূরণ হল না।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় গুলিতে আহতের তিন মাস পর বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মা মাবিয়া বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন।
২৩ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বড়আচড়া গ্রামের টার্মিনাল পাড়ার আব্দুল জব্বারের ছেলে। তিনি রাজধানীর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানান সোহরাওয়ার্দী কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক কাজী সাইফুল ইসলাম।
ছেলের কথা জিজ্ঞাস করলে মা মাবিয়া বেগম বিলাপ করতে করতে বলেন, “আব্দুল্লাহ মেধাবী ছাত্র ছিল। তার আস্থা ও বিশ্বাস ছিল, কোটা প্রথা বাদ না হলে, যত ভাল লেখাপড়া করুক না কেন এ দিয়ে কোনো কাজে আসবে না।