গর্ভকালীন সময়ে মলত্যাগের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো বিপত্তি প্রতিনিয়ত দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে করণীয় কী?
কেন এ সময় কোষ্ঠকাঠিন্য হয়
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ও শারীরিক গঠনের তারতম্য। এ সময় প্রজেস্টেরন নামক হরমোনটি উচ্চমাত্রায় বৃদ্ধি পায়; যার কারণে অন্ত্রের পেশি শিথিল হয়ে যায় এবং তার প্রভাবে হজমশক্তি ধীরগতিতে কাজ করে। এ ছাড়া এ সময় নিয়মিত আয়রন সাপ্লিমেন্ট সেবনও কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি বড় কারণ। গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই জরায়ুর আকার-আকৃতি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বৃহদন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করে; তাতে মলত্যাগের বেগ ধীর হয়ে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কী হয়
পেটে অস্বস্তি, পেট ফুলে যাওয়া, ক্ষুধামান্দ্য ভাব, শক্ত মলত্যাগ—এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের উপসর্গ।
এ ছাড়া দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে দেখা দেয় পাইলস। মলদ্বারে রক্তক্ষরণও হতে পারে।