গণ-অভ্যুত্থানের পর মানুষ কী কী চায় তা নির্ধারণ করার চেয়ে কী চায় না তা নির্ধারণ করা তুলনামূলকভাবে সহজ। দুঃসময় দীর্ঘস্থায়ী হোক সেটা কোনো মানুষ চায় না। আর মানুষের প্রত্যাশা থাকে সুসময়টা দ্রুত আসুক এবং স্থায়ী হোক। সেটা ব্যক্তিজীবনে যেমন, সমাজ জীবনের ক্ষেত্রেও তেমনি।
মানুষ বাঁচার চেষ্টা করে একাকী, স্বপ্ন দেখে নিজের মতো করে প্রধানত নিজের জন্য, দুঃখভোগ করে একাই, কিন্তু তা সত্ত্বেও দুঃসময়ের মুখোমুখি হলে সহায়তা প্রত্যাশা করে অন্যের কাছে। সহায়তা না পেলে বলে, কেউ কি নেই এই বিপদে আমার পাশে দাঁড়ায়? সামাজিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে তেমনি মানুষ ভাবে সমাজে কি প্রতিবাদ করার মতো কেউ নেই? সামাজিক অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে প্রথমেই দলে দলে মানুষ আসে না। অনেক সময় একাকীই দাঁড়াতে হয়, প্রতিবাদের পথে। তারপর পাশে এসে দাঁড়ায় একে একে অনেকে। একাকী মানুষ আর্তনাদ করতে পারে কিন্তু একত্র হলেই গড়ে তোলে আন্দোলন। তেমনি এক আন্দোলন দেখেছে মানুষ জুলাই মাসে আর বিজয় অর্জন করেছিল ৫ আগস্ট।