প্রশ্নটা কত না সহজ। কেউ কেউ ভাবছেন, এটা একটা প্রশ্ন হলো? এমন প্রশ্ন কি যুক্তিসম্মত? যুক্তিসম্মত না হলেও প্রশ্নটা কেন যে বারবার মনে আসছে! নিশ্চয় আমার ‘আই কিউ’ নিয়ে আপনাদের সন্দেহ জাগছে। তবুও চলুন প্রশ্নটা করেই ফেলি। রাজনৈতিক নেতারাই যখন আমাদের দেশের ভাগ্য নিয়ে নাড়াচাড়া করেন, দেশের ভালো-মন্দ নিয়ে ভাবেন, তাদেরই প্রশ্নটা আগে করা যাক। যদিও নেতারা প্রশ্নটা শুনেই অট্টহাসি দিয়ে উঠবেন। হাসতে হাসতে তাদের পেটে খিল ধরে যেতে পারে। এটা একটা কথা? দেশ স্বাধীন করেছি আমরা, দেশটা তবে কার? বলিহারি প্রশ্ন! মোসাহেবরা তো হাসতে হাসতে অজ্ঞান। নেতাদের ব্যঙ্গ-হাসি শুনে মন খারাপ করলে কি চলে? নেতাদের কোনোকিছু নিয়েই মন খারাপ চলবে না। চলুন সরকারের বড় আমলাদের প্রশ্নটা করি।
নেতাদের মতো আমলারা প্রশ্নটা শুনে হাসলেন না। কপালের চামড়াটা কুঁচকে বিরক্ত আর অবাক হওয়ার মাঝামাঝি মুখাবয়ব করে তাকালেন। গভীর চোখে একনজরে বুঝতে চেষ্টা করলেন, মশকারি কিনা। ভারিক্কি গলায় বললেন, ‘দুনিয়াতে কত প্রশ্ন আছে, সব ছেড়ে এ কী প্রশ্ন করলেন? দেশটা আমাদের বলেই তো এ চেয়ারে বসেছি। পাকিস্তান আমল হলে বসতে পারতাম? ব্রিটিশ আমলের কথা নাইবা বললাম। অনেক গাড়ি, বাড়ি, ব্যাংকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, দেশটা আমাদের না হলে হতো? ছেলেমেয়েরা বিদেশ পড়ছে, কনভেন্টে থাকে। তারপরও বলছেন, দেশটা কার? বিদায় হন। বাজেট তৈরি করছি, কোথাকার সব ঝুট ঝামেলা।’