অতি বৃষ্টি, খরা ও একাধিকবার বন্যাসহ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এ বছর দেশে চায়ের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে মাটি ওপরের স্তর ক্ষয়ে যাওয়ায় সার ধুয়ে গেছে। পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়েছে। কুঁড়ির বিকাশ ব্যাহত হয়েছে।
ফলে গত বছরের তুলনায় চায়ের উৎপাদন ১০ শতাংশ অর্থাৎ পাঁচ লাখ কেজি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
বাংলাদেশ চা সংসদ ও চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে, উৎপাদনকারীরা একে উপকারী হিসেবে ভেবেছিলেন। কারণ বৃষ্টি চায়ের কুঁড়ি গজাতে সহযোগিতা করে। তবে, অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাত ও মেঘলা পরিস্থিতি উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে চা বাগানের মাটি অতিরিক্ত স্যাঁতসেঁতে থাকে। ফলে ওপরের মাটির ক্ষয় হয়ে সার নষ্ট হয়।