রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুকে ছয় দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। শুনানির একপর্যায়ে আমুর আইনজীবীকে মারধর করে আদালত থেকে বের করে দেন একদল আইনজীবী।
আজ আমুকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আবেদনে বলা হয়, ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আমু। ঘটনা রহস্য উদ্ঘাটনে তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
শুনানিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আমু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে নিরীহ মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আসামি জড়িত ছিলেন। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।
অপর দিকে আসামিপক্ষ থেকে আমুকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানিতে আমুর আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী কথা বলতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করে আদালত থেকে বের করে দেন একদল আইনজীবী।