পতিত স্বৈরাচার দাঁড়িয়ে ছিল দানবীয় সর্বগ্রাসী দুর্নীতির অবাধ চর্চার ওপর। বিগত সরকারের সঙ্গে যাদের (রাজনীতিবিদ ও সরকারি চাকরিজীবী) সম্পর্ক ছিল, তারা সব আইনের ঊর্ধ্বে উঠে প্রায় সবাই ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মহানায়কে পরিণত হয়েছিলেন। দুর্নীতি স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া ক্যান্সার। রাষ্ট্রকে দুর্নীতিমুক্ত করতে না পারলে জনগণ ও গর্বিত জাতি স্বৈরাচারের দুর্নীতির কলঙ্ক থেকে মুক্তি পাবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় পার করছে। বিবিধ দুর্নীতির করালগ্রাসে ক্ষত-বিক্ষত এ জাতি সর্বাত্মক দুর্নীতিগ্রস্ত দুঃশাসন পেরিয়ে সবার জন্য ঐক্য, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষায় উত্তরণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় নিয়েছে স্বৈরাচারী দুঃশাসক। একটি বৈষম্যহীন দেশ ও জাতি গঠনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মানুষ স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছে। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল এ দেশের সর্বস্তরের জনগণের ওপর দীর্ঘকাল ধরে চলমান নিপীড়ন, সব ধরনের বৈষম্য ও প্রতারণামূলক চক্রান্ত দূর করা। একটি ন্যায়নিষ্ঠ, বৈষম্যহীন, কল্যাণকামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এ কাজ মোটেও সহজ নয়।