দৃষ্টি ঠিক রাখতে চোখের যত্ন নেওয়ার বিকল্প নেই। চোখের প্রতি যত্নশীল হতে হলে যেমন ডিজিটাল ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন, তেমনি পুষ্টিকর খাবারও আবশ্যক। শিশু যে বয়স থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবারে অভ্যস্ত হতে শুরু করে, সে বয়স থেকেই তার চাই সুষম পুষ্টি। শৈশব, কৈশোর পেরিয়েও নানা ধরনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। চোখের সার্বিক সুস্থতায় কাজে আসবে এসব খাবারের পুষ্টি উপাদান।
শিশুকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে, তার অর্থ কিন্তু এই নয় যে মাছ-মাংসের মতো দামি খাবার প্রচুর পরিমাণে দিতে হবে। বরং উদ্ভিজ্জ বহু খাবার চোখের সুস্থতার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। যেমন ভিটামিন এ-এর খুব ভালো উৎস রঙিন শাকসবজি ও ফলমূল। ডিমের কুসুম আর দুধের পুষ্টিও চাই শিশুর। দৃষ্টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার পর কিন্তু পুষ্টিকর খাবার খেয়ে সেই ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব নয়। বরং ক্ষতিগ্রস্ত চোখের চাই সঠিক চিকিৎসা। তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে চোখের নানাবিধ সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। এমনটাই জানালেন গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজের চক্ষু বিভাগের প্রধান এবং ফ্যাকো ও গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সালমা পারভীন।