বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বর্তমানে সর্বাধিক আলোচিত বিষয়। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, ক্রয়ক্ষমতা ধরে রাখা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এখানে দীর্ঘদিন ধরে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৪০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে (মাসিক অর্থনৈতিক প্রবণতা, বাংলাদেশ ব্যাংক)। যার ফলে অতিমাত্রায় মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ।
এ অনিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতির জন্য প্রধানত দায়ী বিগত সরকার। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির মতো মৌলিক পদক্ষেপ না নেয়া এবং কার্যকর নীতি গ্রহণে কালক্ষেপণ করার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি ক্রমে স্ফীত হয়েছে। এদিকে বর্তমানে বাজারদর কমার কোনো লক্ষণ না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যাশা দিন দিন বাড়ছেই। এরই মধ্যে আবার বাজারে মুদ্রা সরবরাহের লাগাম টেনে ধরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক আরেক দফা নীতি সুদহার বাড়িয়েছে।