সড়ক দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রাম ও খুলনায় দুই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন জাহাঙ্গীর আলম। জানানো হয়, তার ডান পা কেটে ফেলতে হবে। পা বাঁচাতে ঢাকায় আসেন তিনি। রাজধানীতে চিকিৎসা নেওয়ায় শেষরক্ষা হয় তার।
তবে চিকিৎসা খরচ চালানো বা পা রক্ষার কোনোটাই সহজ ছিল না জাহাঙ্গীরের। গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামে ইটবোঝাই ট্রাক তাকে চাপা দেয়। সেই দিনের আগে তার জীবন যে স্বাভাবিক ছন্দে চলেছিল তা আবার ফিরে আসবে এমন নিশ্চয়তা নেই।
চট্টগ্রাম ইপিজেডে এক পোশাক কারখানায় কাজ করেন ৩৮ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর। বাড়ি বাগেরহাটে। দুর্ঘটনার পর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার পক্ষে আত্মীয়দের নিয়ে চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। তাই চলে আসতে হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এটি তার গ্রামের বাড়ির কাছে।
তবে এর সুফল পাননি জাহাঙ্গীর। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে এক বস্তিতে টিনশেডের ছোট ঘরের বিছানায় শুয়ে জাহাঙ্গীর আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খুলনা মেডিকেলে আমার যথাযথ চিকিৎসা হয়নি। এমনকি চিকিৎসকরা আমার পা কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।'