আমাদের দেশে প্রতিটি সরকারের শাসনকালে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। তবে কোনো কোনো সরকারের ক্ষেত্রে সেটা ছিল সাময়িক। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এ রকম পরিস্থিতি দেখা দিতেই পারে। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার।
কিন্তু যে পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নিয়েছে সেটা বিবেচনা করতে হবে। একটি গণ-অভ্যুত্থান শেষে যখন নতুন কোনো সরকার হয়, সেই পরিস্থিতিতে দেশকে অল্প সময়ের মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে নিয়ে আসা অত্যন্ত দুরূহ। এর সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের অসহযোগিতা। যাদের দায়িত্ব দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার, সেই তারাই যখন অধিকাংশ অসহযোগিতা করে, তখন আর কোনো উপায় থাকে না। তারপরও সরকার বসে নেই। পুলিশের শক্তিবল বাড়ানোর আন্তরিক চেষ্টা করছে।
ঠিক এমনি এক মুহূর্তে কোনো কোনো জায়গায় ছিনতাই, ডাকাতি, খুন হচ্ছে। একদিকে সাংগঠনিকভাবে বৃহৎ পরাজিত দল আওয়ামী লীগ, অন্যদিকে পুলিশের দলবদ্ধ অনুপস্থিতি। এই দুইয়ের অনুপস্থিতির সুযোগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সুযোগ সন্ধানীরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করছে যদিও শেষ পর্যন্ত অপরাধীরা সফল হবে না।