ছাত্রসমাজ কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পরবর্তী সময়ে একটি বৃহৎ পরিসরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিয়েছে, তাতেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে একটি ব্যাপক পরিবর্তনমুখিনতার প্রত্যয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের প্রতিপাদ্যে সমন্বয়করা আসলে চেয়েছেন ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রকাঠামোতে বিদ্যমান অচলায়তন সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে বহু কাল ধরে বিরাজমান সব ধরনের অপশাসন, নির্যাতন ও বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে একটি শোষণহীন, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। নিরাপদ সড়কের আন্দোলনেও ‘রাষ্ট্র মেরামতের’ প্রশ্ন সামনে এনেছিলেন এই ছাত্র তরুণরাই। তাই তাঁদের সম্মিলিত দাবিগুলোতে ঘোষিত প্রত্যয়, যাতে রাষ্ট্রনৈতিক সংস্কারই প্রকৃতপক্ষে সামাজিক ন্যায়বিচার, সুশাসন ও গণতন্ত্রকে আরো সুসঙ্ঘবদ্ধ ও সুসংহত করতে পারে।