কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল সেখানকার তৎকালীন পুলিশ সুপার (বর্তমানে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমি) এ বি এম মাসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে। তাকে মামলার আসামি করতে আদালতে আবেদনও করেছিলেন নিহত মেজর সিনহার বোন। এ অভিযোগ ছাড়াও এসপি মাসুদের বিরুদ্ধে মাদক কারবারিদের একপক্ষকে ক্রসফায়ার, আরেক পক্ষের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া ও তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব অর্থ তার নিজের ও তার স্ত্রী-সন্তানদের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করছে। সংস্থাটির উপপরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম এ অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন।
দুদকের তথ্যমতে, এসপি মাসুদ হোসেন ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কক্সবাজারে যোগ দেন। ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তাকে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়। ২০২৩ সালের জুন মাসে এসপি মাসুদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগ জমা হয় দুদকে। কমিশন অভিযোগটি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংস্থাটির উপপরিচালক মো. ফখরুল ইসলামকে নিয়োগ দেন। তিনি অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত বছরের ৩০ জুলাই দেশের ব্যাংক, বীমা, রাজউক, সিটি করপোরেশন, রেজিস্ট্রি অফিস, ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে বলা হয়, পুলিশের কক্সবাজারের সাবেক এসপি মাসুদসহ (বর্তমানে রাজশাহী) কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ লেনদেন হওয়ায় লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস আড়াল করাসহ মানি লন্ডারিং অপরাধ ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট কোনো রেকর্ডপত্র থাকলে তা দুদকে পাঠানোর জন্য বলা হলো। চিঠিতে পুলিশ সুপার মাসুদ, তার স্ত্রী জেনেফার রেবেকা ও দুই সন্তানের হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে। ওই চিঠির পর কয়েকটি দপ্তর থেকে অভিযোগ-সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ দুদকে পাঠানো হয়েছে।