ঢাকা উত্তর সিটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শ্রমিক দল নেতাদের ফরমায়েশি তালিকা মেনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি, পদোন্নতি বা দায়িত্বে রদবদল করার অভিযোগ উঠেছে। পাওয়া গেছে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগও। এ ক্ষেত্রে কাউকে ভালো জায়গায় বদলির প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, কাউকে–বা খারাপ জায়গায় বদলির হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে সংস্থাটিতে বিরাজ করছে আতঙ্ক।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা শেখ অহিদুজ্জামান। ডিএনসিসির অঞ্চল-২–এর পৌরকর শাখার (গৃহকর) উপ–কর কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। গত ২৬ সেপ্টেম্বরের অফিস আদেশে ওই দায়িত্বসহ তাঁকে একই অঞ্চলের কর কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁকে এ দায়িত্ব দিতে সেখানকার কর কর্মকর্তা এ এফ এম জোবায়ের ইসলাম ভূঁইয়াকে অঞ্চল-৭–এ বদলি করা হয়। কিন্তু ওই অঞ্চলে গৃহকর আদায়ের কার্যক্রম পুরোদমে শুরুই হয়নি।
তবে শুধু অহিদুজ্জামানের দায়িত্বে রদবদল করলে তাঁর চেয়ে জ্যেষ্ঠ অপর তিন উপ–কর কর্মকর্তার সঙ্গে ‘অন্যায়’ করা হচ্ছিল। তাই তাঁদেরও কর কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে যুবরাজ দেবনাথ ও আবদুল আজিজকে দেওয়া হয় অঞ্চল-৮–এর পৌরকর (গৃহকর) ও বিবিধ (ট্রেড লাইসেন্স) শাখার কর কর্মকর্তার দায়িত্ব। এখানেও অঞ্চল-৭–এর মতো অবস্থা। আর মাহবুব আলমকে দেওয়া হয় অঞ্চল-২–এর কর কর্মকর্তার (বিবিধ আদায় শাখা) দায়িত্ব।