যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন: লড়াইয়ের রণবাদ্য বাজছে

বিডি নিউজ ২৪ সালেহ উদ্দিন আহমদ প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৪১

এত ভুল করার পরও ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা টলেনি বললেই চলে। মনে করা হচ্ছে মার্কিন ভোটাররা তার ট্রাম্পিও কদাচারে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। অন্যদিকে নির্বাচনি প্রচরণায় এ পর্যন্ত বড় ধরণের কোনো ভুল না করলেও হ্যারিস তার জনপ্রিয়তা খুব একটা বাড়াতে পারেননি। তবু এখন পর্যন্ত আসন্ন নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করা দুরূহ, অন্তত জনমত জরিপগুলো থেকে নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের রণবাদ্য বাজছে বলে অনুমিত হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্রে একজন নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন ৫ নভেম্বর। ডেমোক্রেটিক দলীয় কমলা হ্যারিস অথবা রিপাবলিকান দলের ডনাল্ড ট্রাম্প হবেন নতুন প্রেসিডেন্ট। এবারের নির্বাচন অনেক কারণেই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, তার প্রথমটি হচ্ছে, এই নির্বাচনে একজন নারীর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রকৃত সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটন চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ট্রাম্পের কাছেই হেরে গিয়েছিলেন তিনি। তাই জিতলে কমলা হ্যারিসই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী এবং দ্বিতীয় কৃষ্ণকায় প্রেসিডেন্ট। কৃষ্ণকায়দের মধ্যে প্রথম জন ছিলেন বারাক ওবামা। কমলা হ্যারিসের মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত, বাবা ছিলেন কৃষ্ণকায়।


ট্রাম্প ২০১৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কিন্তু পরের নির্বাচনে বাইডেনের কাছে হেরে যান। কিন্তু তিনি কখনো পরাজয় মেনে নেননি। বাইডেনের নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট (কংগ্রেস) আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার সময়, ট্রাম্প তৃতীয় বিশ্বের মতো তার সমর্থকদের দিয়ে কংগ্রেস ভবন ঘেরাও করে বাইডেনের নির্বাচন প্রতিহত করতে চেষ্টা করেন। এইবার হেরে গেলে তিনি হয়তো তার চেয়েও বড় হাঙ্গামা শুরু করতে পারেন।


ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় পরিচালনায় শিষ্টাচার ও গণতন্ত্র দুটোই নিদারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ধরে নেওয়া যায়, ডনাল্ড ট্রাম্প আবার নির্বাচিত হলে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও শাসন পদ্ধতিতে ট্রাম্প-কাল্চার আরো পাকাপোক্ত হবে।


কমলা হ্যারিস বাইডেনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন গত চার বছর। ধরে নেওয়া হচ্ছে নির্বাচিত হলে তিনি বাইডেনের পথেই হাঁটবেন। কিন্তু তিনি যখন বাইডেনের ছায়া থেকে বের হয়ে আসবেন, ধারণা করা হচ্ছে, অনেক নীতি নির্ধারণে তিনি হবেন বাইডেনের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ।



বাস্তবে এগুলো কোনদিকে গড়াবে বা এগুলোর ফলাফল কি হবে, তা দেখতে আমাদেরকে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। তাই এখন সবার দৃষ্টি নির্বাচনি প্রচারণার দিকে। দুই প্রার্থী, কে কি বলছেন, কে কি করছেন, জনসমর্থনের পাল্লা কোনদিকে কিভাবে উঠানামা করছে– যুক্তরাষ্ট্রের পত্রপত্রিকা ও টিভি চ্যানেলগুলো এসব পুঙ্খানুপঙ্খ পরিবেশন ও বিশ্লেষণ করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ বাংলাদেশের লোকজনের মতো এত রাজনীতি-আচ্ছন্ন নয়। সাধারণত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশের মতো লোক ভোট দিয়ে থাকে, যেটা বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে অনেক কম। রাজনীতি নিয়ে আগ্রহ বা উৎসুক্য আছে হয়তো অনেকেরই, কিন্তু সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা বা হৈ চৈ করার লোক ওখানে অনেক কম।


কমলা হ্যারিস: দৈবক্রমে প্রার্থী


যুক্তরাষ্ট্রে বড় দুটি দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সাধারণত দলীয় প্রাইমারি নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে হয়। প্রচলিত প্রথা হলো, বর্তমান প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচন করতে চাইলে তার দলের বড় নেতারা কেউ তাকে প্রাইমারি নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ করেননি। প্রথম থেকেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুনঃনির্বাচনের জন্য ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ছিলেন।


প্রায় একবছর ধরে তিনি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। দেশের অর্থনীতি তার পক্ষে কাজ করছিল। যদিও বড় বড় অর্থনীতিবিদরা একসময় বলছিলেন যে কোনো সময় বড় অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে, কিন্তু তার সময়ে অর্থনীতি ভালোই যাচ্ছে– স্টক বাজার শক্তিশালী এবং বেরকারত্ব নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। কিন্তু তার বিপদ দেখা দিলো অন্যভাবে– বয়সের চাপে নির্বাচনি প্রচারে তেমন আলো ছড়াতে পারছিলেন না তিনি এবং তার জনসমর্থন দিন দিন কমে যাচ্ছিল। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে বাইডেন খুব এলোমেলো কথা বলেছেন। নির্বাচন নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের হতাশা দিন দিন বাড়ছিল, কিন্তু কে বলবে একজন বর্তমান প্রেসিডেন্টকে যে দলের স্বার্থে তাকে সরে যেতে হবে! অবশেষে এগিয়ে এলেন ন্যান্সি পেলোসি, প্রাক্তন স্পিকার– যিনি অনেক বছর পার্লামেন্টে ডেমোক্রেটিক দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার যুক্তি ছিল, ট্রাম্পকে নির্বাচনে হারাতেই হবে, এর জন্য বাইডেন উপযুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নন। রাতারাতি বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বেজে গেলো– দলের অন্য নেতারা পেলোসিকে জোরালোভাবে সমর্থন করলেন ।


এই বছরের ২১ জুলাই বাইডেন তার ভইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়ে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেন। রাতারাতি ডেমোক্র্যাটরা হ্যারিসকে গ্রহণ করে নিল, হ্যারিসের উষ্ণ হাসি এবং বলিষ্ঠ কণ্ঠ নির্বাচনি প্রচারণায় আবার ডেমোক্র্যাটদের জন্য আলো ছড়াতে লাগল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us