ব্রিকস জোট তার প্রাথমিক পাঁচটি সদস্য দেশ থেকে সম্প্রসারিত হয়ে নয়টি দেশে পরিণত হয়েছে। মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুক্ত হওয়া এই জোটকে আরও বেশি বহুমাত্রিক এবং বৈশ্বিক করেছে। এছাড়া প্রায় তিন ডজন দেশ ব্রিকসে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে, যা ব্রিকসের শক্তিশালী প্রভাবের প্রমাণ।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির একটি জোট হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার মাধ্যমে, ব্রিকস এখন জি-৭-এর বিকল্প একটি শক্তি কেন্দ্র হিসেবে কাজ করতে পারে। জনসংখ্যার দিক থেকে এই সম্প্রসারিত জোট বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৬ শতাংশকে প্রতিনিধিত্ব করে, যা জি-৭-এর মাত্র ৮.৮ শতাংশের তুলনায় অনেক বৃহৎ। এই সম্প্রসারণ বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং বাণিজ্যে বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে।
ব্রিকসের সদস্য দেশগুলো যেমন চীন এবং ভারত ইতিমধ্যেই বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি এবং সম্প্রসারিত সদস্য দেশগুলোর সংযোজনের ফলে এই জোটের আর্থিক এবং বাণিজ্যিক প্রভাব আরও বাড়বে। এটির পাশাপাশি ব্রিকস প্লাস জোট এখন পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং একটি স্বাধীন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নীতি গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।