রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনের থাকা না-থাকার প্রশ্নে তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চায় না অন্তর্বর্তী সরকার। এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজছে। তবে রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে অনড় রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই বলে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের মন্তব্য সম্প্রতি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেই মন্তব্যকে ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মহল থেকে রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি ওঠে। বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ তৈরি হয়। সরকারের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এমন পটভূমিতে গতকাল বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করা হবে।