শারীরিক ও মানুসিকভাবে ফিট থাকতে নিয়ম করে শরীরচর্চার প্রয়োজনীয়তা কারা কাছেই অজানা নয়। তবে কাজের ব্যস্ততা ও সংসারের দায়িত্ব সামলে গিয়ে সেটি করা অনেকের কাছেই কষ্টসাধ্য। ফলে দিন দিন লম্বা হচ্ছে প্রেসক্রিপশনে ওষুধের তালিকা।
তবে যদি কারো ইচ্ছে থাকে তাহলে কিন্তু বাড়িতেই আধ ঘণ্টা সময় বের করে যোগাসন বা ব্যায়াম অভ্যাস করতে পারেন। কেবল রোগা হতেই নয়, নানা রকম রোগবালাই ঠেকিয়ে রাখতেও বেশ সহায়ক নিয়ম করে যোগাসন করা। যেমন, আমাদের আশেপাশে এমন অনেকেই আছেন যারা, সারাবছর হজমের সমস্যায় ভোগেন। খাবার মেনু একটু এদেকি-সেদিকে হলেই পড়তে এই সমস্যায়। তবে এমন একটি যোগাসন আছে, যে আসনটি অভ্যাস করলে হজমশক্তি ভাল হয়।
কীভাবে করবেন?
১. ম্যাটের ওপর পা ছড়িয়ে টানটান ভঙ্গিতে শুয়ে পড়ুন, পায়ের পাতা জোড়া করে রাখুন।
২. কাঁধ বরাবর দুই হাত সোজা করে ছড়িয়ে দিন, হাতের তালু যেন মাটিতে ঠেকে থাকে।
৩. ডান হাঁটু এমন ভাবে ভাঁজ করুন, যেন পায়ের পাতা বাঁ দিকের হাঁটুতে ঠেকে থাকে।
৪. এবারে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ডান হাঁটু ও বাঁ হাঁটুর যতটা সম্ভব কাছাকাছি আনতে হবে। বাঁ পা থাকবে টানটান, খেয়াল রাখবেন, বাঁ পা যেন মুড়ে বা স্থানচ্যুত না হয়ে যায়।
৫. ডান দিকে মাথা ঘোরান, দৃষ্টি থাকুক ডান হাতের দিকে।
৬. এই অবস্থানে খেয়াল রাখতে হবে বাঁ হাত যেন ডান হাঁটুর উপরে থাকে এবং ডান হাত ও কাঁধ যেন মাটিতে ঠেকে থাকে, উঠে না যায়।
৭. শেষ পর্যায়ে খেয়াল রাখতে হবে মাথা যেন ভাঁজ করা হাঁটুর বিপরীত দিকে ঘোরানো থাকে এবং অন্য পা যেন টানটান ও সোজা থাকে।
৮. এই অবস্থানে যতক্ষণ সম্ভব থাকতে হবে। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। আরামদায়ক ভাবে এই অবস্থানে থাকুন, শরীরে চাপ যেন না পড়ে, খেয়াল রাখবেন।
৯. এরপর শ্বাস নিতে নিতে ডান হাত ও ডান পা সোজা করে শুরুর অবস্থানে ফিরে আসুন। মাথা ও পা সোজা থাকবে। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল।
১০. একই ভাবে বাঁ পা ভাঁজ করে বিপরীত দিকে অভ্যাস করতে হবে একই নিয়মে। ২–৩ রাউন্ড অভ্যাস করতে হবে। চেষ্টা করুন শরীর মোচড়ানো অবস্থানে থাকার সময় বাড়াতে।