সম্প্রতি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার পলাশতলী গ্রামের একজন অটোরিকশা চালকের সঙ্গে কথা হলো। তাকে মাছ, মাংস, ডিম, তরিতরকারির দাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানালেন মূল্যবৃদ্ধির কারণে মাসে একদিন ব্রয়লার মুরগির মাংসও জোটে না তাদের ভাগ্যে।
মাছ, ডিম ও দুধ খাওয়া অনেক দিন আগেই ভুলে গেছেন। কম দামি শাকসবজিই ছিল তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র ভরসা। সেই সবজির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি তার মতো স্বল্প আয়ের মানুষজনকে মহাবিপদে ফেলেছে। বর্তমানে বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে কোনো সবজিই পাওয়া যায় না। ‘গরিবের সবজি’ বলে খ্যাত মুলার দামও ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। সম্প্রতি ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন হাটবাজার পরিদর্শনের সময় দেখা যায়, একেক বাজারে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে শাকসবজি। মেছুয়া বাজারে যে করলার দাম ৮০ টাকা, নতুন বাজারে সেই একই করলা ১০০ টাকা কেজি। শানকিপাড়া বাজারে যে চিচিঙ্গা ৮০ টাকা কেজি, মেছুয়া বাজারে সেই চিচিঙ্গা ৬০ টাকা কেজি। এ ছাড়া প্রতিটি ছোট চাল কুমড়া ৬০ টাকা, মাঝারি আকৃতির লাউ ১০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শজনে। ফুল কপি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা আর ঝিঙা পটোল ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। মিষ্টি কুমড়ার কেজিও ৮০ টাকা।
এসব সবজি আজ থেকে ১৫ দিন আগেও অর্ধেক বা চার ভাগের তিন ভাগ দামে বিক্রি হয়েছে ময়মনসিংহের বিভিন্ন বাজারে। অন্য সবজির দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়লেও দাম বাড়েনি কাঁচা পেঁপে, শোলা কচু, কচুশাক, পাটশাক, ঢেঁকিশাক, গিমাকলমির শাকের। তবে বেড়েছে লাউশাকেরও দাম। আগে যে লাউ শাকের আঁটি ছিল ২০ টাকা, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। ময়মনসিংহ মহানগরের বিভিন্ন বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৪০, গাজর ১৮০, গোল বেগুন ১২০ থেকে ১৪০, লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ১০০ এবং ২০০ টাকা কেজি দরে নতুন শিম বিক্রি হচ্ছে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দামে। এ পণ্যটির দাম গত ১৫ দিনে বাড়েনি বরং একটু কমেছে। সবজির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মসলার দাম। ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ ও আদা ৩২০ টাকা কেজি দরে।