বর্তমানে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশ হচ্ছে ঠিক তার উল্টোটি। কাঁচাবাজার থেকে মাছের বাজার— নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়ছে প্রতিনিয়ত। ফলে যাদের আয় সীমিত এবং যারা নির্দিষ্ট বেতনের ওপর নির্ভরশীল, তারা ভয়াবহ চাপে পড়েছে। কারণ, সবকিছুর দাম বেড়ে গেলেও তাদের আয় সেভাবে বাড়েনি। গণমাধ্যমে খবর এসেছে এই অবস্থায় অনেকেই সবজি কেনার ক্ষেত্রে কেজি থেকে নেমেছেন গ্রামে। আগে যারা কেজিতে কিনতেন এখন ২৫০ বা ৫০০ গ্রাম ওজনে কিনছেন। তাছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির এ চাপ সামাল দিতে ইদানীং টিসিবির লাইনে ছিন্নমূল মানুষের পাশাপাশি নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের সঙ্গে মধ্যবিত্ত শ্রেণির কিছু মানুষকেও দেখা যাচ্ছে।
এ সম্পর্কে জাগো নিউজে ৯ অক্টোবর প্রকাশিত ‘সেই সিন্ডিকেটের কবলেই বাজার, দ্রব্যমূল্যে দিশাহারা’ শিরোনামের সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে— ‘অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরও গত দুই মাসে সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে দ্রব্যমূল্য। পণ্যের দাম মানুষকে স্বস্তি দিতে পারেনি। বরং স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট বাড়িয়েছে। বিগত সরকারের আমলের সেই সিন্ডিকেট ভাঙার কোনো আলামতও মেলেনি এখনো। এরই মধ্যে ডিম-মুরগির সিন্ডিকেটের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। সরকারের অগ্রাধিকারে থাকলেও বাজারব্যবস্থায় এখনো নিয়ন্ত্রণ আসেনি।’