বহুদলীয় গণতন্ত্রে নির্দলীয় পোলিং কর্মকর্তা, নির্দলীয় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, নির্দলীয় রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্দলীয় নির্বাচন কমিশন এবং সর্বোপরি নির্দলীয় সরকার অপরিহার্য। গোটা জাতিকে দলীয়করণ করলে নির্দলীয় মানুষ কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। নির্দলীয় মানুষ পেতে হলে নির্দলীয় স্কুল–কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় লাগবে। শিক্ষক ও ছাত্রদের দলীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে হবে। অনুরূপ সব পেশাজীবীকেও দলীয় রাজনীতির বলয় থেকে মুক্ত থাকতে হবে।
তাহলে প্রশ্ন হতে পারে, দলীয় রাজনীতি কারা করবে? ছাত্র–শিক্ষক ব্যতীত অন্যান্য পেশাজীবী ব্যক্তি হিসেবে যেকোনো দল করতে পারেন। কিন্তু পেশাজীবী সংগঠনের নির্বাহী পদে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের দলীয় রাজনীতি করতে দেওয়া সমীচীন হবে না। সে ক্ষেত্রে দলদাসত্বের কারণে কোনো পেশাজীবী সংগঠন ন্যায্য পেশাস্বার্থ আদায়ে সক্রিয় ও সোচ্চার হতে পারবে না । অপেশাজীবী জনগণ অবাধে দলীয় রাজনীতি করতে পারবে। তবে কাউকে দলীয় রাজনীতি করতে বাধ্য করা যাবে না। সিভিল সমাজই একটি রাষ্ট্রের শক্তিশালী নির্দলীয় সমাজ এবং তারাই জাতির বিবেক হিসেবে মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখে।