যত ভিউ, তত বাণিজ্য...!

প্রথম আলো নিশাত সুলতানা প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ২১:৩৭

যদি বলা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোনটি? সর্বসম্মতিক্রমে উত্তরটি হবে ‘ফেসবুক’।


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।


মোট ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দশম। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এবং অ্যানালিটিকস প্ল্যাটফর্ম নেপোলিয়নক্যাটের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে বর্তমান ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৩৯ লাখ ৫৫ হাজার ১০০, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশেরও বেশি।


একটা সময় ছিল, যখন ফেসবুকের কার্যক্রম কেবল সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার গণ্ডি ছাপিয়ে ক্রমেই ফেসবুক হয়ে ওঠে মানুষের কাছে সংবাদমাধ্যম, বিনোদনমাধ্যম কিংবা ভার্চুয়াল জগতে ব্যবসার আর আয়–রোজগারের উৎস।


সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যমটি জনপ্রিয়তা লাভ করে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের মধ্যে। মানুষের মন আর মগজকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আজ মহাসমারোহে রাজত্ব করছে ফেসবুক।



তবে বেশ কয়েক বছর হলো সামাজিক এ যোগাযোগমাধ্যমটি এমনভাবে বাণিজ্যের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে যে এখান থেকে বিদায় নিতে শুরু করেছে সুস্থ রুচি আর ইতিবাচক চিন্তাভাবনাগুলো।


সস্তা জনপ্রিয়তা লাভের আকর্ষণ আর সহজে অর্থ উপার্জনের নিম্নগামী রুচির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মার খাচ্ছে সুস্থ চিন্তা, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ আর রুচিশীল বিনোদন।


ফলে হতাশায় ভুগে অনেকেই নিজেদের সরিয়ে ফেলছেন এই মাধ্যম থেকে কিংবা নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকছেন। দিন দিনই যেন সুবৃহৎ এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি নোংরা রুচির প্ল্যাটফর্মে পরিণত হচ্ছে। সাড়ে ছয় কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর মধ্যে ফেসবুক বর্জনকারী কিংবা নীরব ব্যবহারকারীর সংখ্যা কিন্তু কম নয়।


তাঁদের অনুপস্থিতি চট করে বোঝা না গেলেও একসময় তাঁদের হারিয়ে যাওয়া অনুভূত হয় প্রতিবাদবিহীন নোংরা মন্তব্যের ভিড়ে।


সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে সীমাহীন নিয়ন্ত্রণ আর হয়রানির কথা আমাদের অজানা নয়।


স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে না পারার হতাশা থেকেও সেসময় অনেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন এই প্ল্যাটফর্ম থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পথ বেয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পথপরিক্রমায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গতিপ্রকৃতি যেদিকে যাচ্ছে, সেটিও কাঙ্ক্ষিত ছিল না মোটেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us