একজন ডুব দিচ্ছেন সমুদ্রের তলদেশে, আরেকজন চলে যাচ্ছেন পাহাড়ে। দৌড়াচ্ছেন, সাঁতার কাটছেন, সাইকেল চালাচ্ছেন মাইলের পর মাইল। আরেকজন গাড়ি হাঁকাচ্ছেন উচ্চগতিতে, অংশ নিচ্ছেন দেশ–বিদেশের রেসে। নতুন প্রজন্মের এই তিন নারীই বাংলাদেশি। একজন স্কুবা ডাইভিং করছেন, একজন জিতেছেন অর্ধদূরত্বের আয়রনম্যান, আরেকজন কার রেসিংয়ে অংশ নিচ্ছেন ভিনদেশের বড় বড় আসরে। অদম্য এই নারীদের নিয়ে এবারের আয়োজন।
মালয়েশিয়া গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন আধুনিক ডুবুরি হওয়ার। পাশাপাশি কাজ করেছেন গাইড ও প্রশিক্ষক হিসেবে। ঝুলিতে ভরেছেন দারুণ সব অভিজ্ঞতা। উদ্যোক্তা জান্নাতি হোসেনের পেশাদার ডাইভ মাস্টার হয়ে ওঠার গল্প শুনেছেন মো. জান্নাতুল নাঈম।
হাতখানেক দূরত্বেই সামুদ্রিক অ্যানিমোন, ক্লাউন ফিশ, সিন্ধুঘোটকসহ হরেক প্রজাতির মাছ। ক্লাউন ফিশগুলো প্রবালে লুকায়, একটু মাথা বের করে তাকিয়ে আবার ঘুরতে বের হয়। মানুষকে ওরা তেমন ভয় পায় না। মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রথম সমুদ্রে ডুব দেওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল ঠিক এ রকম, ছবির মতো। যা দেখেছি, তা লিখে বোঝানো আদতে কঠিন। মনে হচ্ছিল, মহাকাশে ভেসে ভেসে পানির নিচের জীবন দেখছি।
পানির নিচে অভিযানের শুরুটা অবশ্য বাংলাদেশেই। ২০১৫ সালের কথা। আমি তখন পুরোদমে উদ্যোক্তা। ছুটিতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ঘুরতে গিয়েছি। শুনলাম, সেখানে প্রবালপ্রাচীর সংরক্ষণে সচেতনতা তৈরিবিষয়ক একটা কর্মসূচি হবে। আয়োজকদের প্রধান আমার বন্ধু। তার সঙ্গে দেখা হলো। জানতে চাইল, আমি দলের নেতৃত্ব দিতে পারব কি না। সানন্দে রাজি হলাম।