কোনো অজুহাতেই কাজ হবে না। মূল্যস্ফীতি, ডিমের দাম, বেগুন-আলুর দাম-কোনো অজুহাতই চলবে না। ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতেই হবে। আর মাত্র ৩০-৪০ দিন। ৩০ নভেম্বর শেষ তারিখ। আগে ছিল সেপ্টেম্বরের শেষ। সদাশয় মুহিত সাহেব নভেম্বরে শেষ করে গেছেন। এটি একটি ভালো কাজ। আরেকটি ভালো কাজ করেছেন সদ্য সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি করহার এবং প্রদেয় করকে দুই বছরের জন্য প্রযোজ্য করে গেছেন। আগে প্রতিবছর করহার, কর নিয়মাবলি পরিবর্তিত হতো। কথা ছিল ৩ বছরের। না, তা হয়নি। করা হয়েছে ২ বছরের জন্য। তবু মন্দের ভালো। করদাতারা একটা ছোটখাটো পরিকল্পনা করতে পারেন। করহার একবার পরিবর্তন হলে ওই বছর করদাতারা আর কোনো সুযোগের ব্যবহার করতে পারেন না। এমনও কথা ছিল যে, সরকার কর বছর (অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার) পরিবর্তন করে বৈশাখের দিকে আনবে। না, তা হয়নি। এখন দেশে নানা বছর চালু আছে। ব্যাংকে আর্থিক বছর জানুয়ারি-ডিসেম্বর। ব্যাংকগুলো ডিসেম্বরে তাদের হিসাব ‘ক্লোজ’ করে। মজার ঘটনা, ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘আর্থিক বছর’ আবার জুলাই-জুন। এটা সরকারেরও অর্থবছর। আমাদের বাজেট করার বছর হচ্ছে জুলাই-জুন। এটা চলছে পাকিস্তান আমল থেকে (১৯৪৭ থেকে)। মনে করা হয়েছিল, পাকিস্তানের ‘লিগ্যাসি’ আমরা ছাড়ব। না, তা হয়নি। এদিকে বাঙালির বছর আবার ভিন্ন। বৈশাখ থেকে চৈত্র। বৈশাখ মাসে এখন একটা ফসল ওঠে-বোরো, আমাদের প্রধান ফসল। এছাড়া আমাদের ব্যবসায়ীরা নানা বছর পালন করেন হিসাবের ক্ষেত্রে। এ অবস্থায় আশা করা যাচ্ছিল এই এলোমেলো অবস্থার অবসান ঘটবে। না, তা হয়নি।