চুলের নানা ধরনের সমস্যা লেগেই থাকে। চুল পড়ে যাওয়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া কিংবা ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন। হেয়ার ফলিকেলের ড্যামেজ রোধ করে ভিটামিন ই। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভেঙ্গে যাওয়া চুলের যত্নে অনন্য। এছাড়া প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে ভিটামিন ই অয়েল। এই ভিটামিনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। ফলে চুল পড়া কমে। ভিটামিন ই চুলের গোড়ায় রক্ত প্রবাহ বাড়াতে পারে, যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। চুলের অকালে পেকে যাওয়া রোধ করতেও ভূমিকা রাখে এটি। গবেষণা বলছে, ক্ষতিকর ইউভি বিকিরণ এবং দূষণ দ্বারা উৎপাদিত মুক্ত র্যাডিকেলগুলো দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন ই। জেনে নিন চুলের যত্নে কীভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করবেন।
- ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে নিন নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে। আমন্ড অয়েলের মতো তেলেও ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। এমনকি ঘনও হয় চুল।
- অ্যালোভেরা জেল ব্লেন্ড করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন।
- যেকোনো হেয়ার মাস্কে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে নিন। এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। চুলের ক্ষয়ও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
- একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ছিদ্র করে সরাসরি ঘষে ঘষে লাগান মাথার ত্বকে। একটু সময় নিয়ে ম্যাসাজ করবেন। ১ ঘণ্টা পর ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
- চুলের আগা ফাটা দূর করার জন্য কয়েকটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেল সংগ্রহ করে হাতের তালুতে নিন। এবার চুলের আগায় লাগান এই তেল।
- ২ টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে কয়েকটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মেশান। মিশ্রণটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন ৪০ মিনিট। মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে পরিষ্কার করে ফেলুন চুল।