অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক কারণে বিশ্ব অর্থনীতি বর্তমানে এক চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছে। রাজস্ব ও মুদ্রানীতিতে নজিরবিহীন শিথিলতা অবলম্বনের মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতি যখন করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে উঠছিল ঠিক তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যা বিশ্ব সরবরাহ ব্যবস্থাকে ব্যাপকভাবে পর্যুদস্ত করে।
এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতি এবং আমেরিকা ও চীনসহ বহুপক্ষীয় বাণিজ্যযুদ্ধ বর্তমানে বিশ্ববাণিজ্য প্রসারে বিরাট এক অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপীই বিশেষ করে ২০২২ সালের পর থেকেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যদিও আমাদের পার্শ্ববর্তী কিছু দেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশই বর্তমানে মূল্যস্ফীতির এ চাপ অনেকটাই সামলে নিয়েছে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পতিত সরকারের ভ্রান্ত রাজস্ব ও মুদ্রানীতিই আমাদের দেশের বর্তমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য পুরোপুরিভাবে দায়ী।
স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, কুচক্রী মহলের পরামর্শে পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সময়মতো পর্যাপ্তভাবে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অবলম্বন না করা এবং সরকারের রাজস্বনীতিতে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় সংকোচন করে উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বাড়িয়ে সার্বিক সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি করতে না পারার কারণেই সাম্প্রতিক কালে আমাদের দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির সৃষ্টি হয়েছে।