আওয়ামী লীগের বিগত শাসনামলে অন্যান্য খাতের মতো সিন্ডিকেট থেকে বাদ যায়নি ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) খাতও। বৈদেশিক কল আদান-প্রদানের এই মাধ্যমকে কুক্ষিগত করে রেখেছিল সরকারের শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট। সাতটি আইজিডব্লিউ ‘আইওএস’ অপারেটরদের নিয়ে এই সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছিল। যেই সিন্ডিকেটের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তার নেতৃত্বেই ‘টিয়ার ২’তে থাকা এই অপারেটর সিন্ডিকেট গত ৯ বছরে অতিরিক্ত রাজস্ব ও বাজার উন্নয়ন ব্যয়ের নামে অন্তত ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নন-আইওএস আইজিডব্লিউ অপারেটররা বলছেন, টিয়ার নামে আজগুবি এক প্রথার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় সিন্ডিকেট গঠন করে বৈদেশিক কল আদান-প্রদান ব্যবসায় চরম বৈষম্য তৈরি করা হয়। গুটিকয় অপারেটরকে সুবিধা দিয়ে বাকিদের প্রতি চরম অবিচার করা হয়েছে। এর সঙ্গে খোদ বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ফলে নতুন বাংলাদেশে আইওএস অপারেটরের সংখ্যা সাত থেকে কমিয়ে আন্তর্জাতিক কলের আনুপাতিক হারে নির্ধারণ এবং আর্থিক লুটপাটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি অপারেটরদের।