শিক্ষার নানা সংস্কার ও অব্যাহত উন্নয়নের জন্য একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবি। এই কমিশনটি গঠনের উদ্দেশ্য হবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার স্থায়িত্ব ও অগ্রগতি, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও ধারাবাহিকতা এবং নানা ধারা ও স্তরের মধ্যে সমতা নিশ্চিত করা। এই শিক্ষা কমিশন একটি স্বতন্ত্র ও স্বাধীন সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, যার প্রধান কাজ হবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং শিক্ষার প্রতিটি স্তরের জন্য সমন্বিত নীতিমালা তৈরি। বিজ্ঞজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে চিন্তা-ভাবনা, আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে ঠিক করতে হবে কেমন হবে আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্থায়ী শিক্ষা কমিশনটি।
নিচে একটি আদর্শ স্থায়ী শিক্ষা সংস্কার কমিশনের গঠন, কার্যাবলি এবং বৈশিষ্ট্য নিয়ে কিছুটা আলোচনা করা হলো।
১. স্থায়ী শিক্ষা সংস্কার কমিশনের জন্য একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর কাঠামো নির্ধারণ করা প্রয়োজন। কমিশনের কাঠামোকে বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত করা যেতে পারে। প্রথমত, কমিশনের প্রধান হিসেবে একজন চেয়ারপারসন থাকবেন, যিনি অবশ্যই শিক্ষাবিজ্ঞানের, বিশেষ করে শিক্ষার কোনো একটি ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষা নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং যাঁর সমাজে গ্রহণযোগ্যতা আছে।