বৈষম্যমুক্ত সমাজ নির্মাণের অন্যতম প্রধান ভিত্তি পাকাপোক্ত হয় শিক্ষার মাধ্যমে। অসম শিক্ষা, সদা পরিবর্তনশীল শিক্ষাধারা সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠার অন্তরায়।
সমতা, ন্যায্যতা ও অসাম্প্রদায়িকতা প্রতিষ্ঠার জন্য দরকার স্থায়ী, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমতাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা-যার দারুণ অভাব বেশ কয়েক বছর ধরে সর্বমহলে চরমভাবে অনুভূত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে শিক্ষাব্যবস্থার সংকট নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হলেও বাস্তবসম্মত গতি পায়নি পরম প্রয়োজনীয় শিক্ষাব্যবস্থা।
কখনো কখনো শিক্ষাব্যবস্থায় আকস্মিক বড় ধরনের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হলেও তা নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষাবিদরা প্রায়ই তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং যথাযথ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনা বা তাদের মতামতের ভিত্তিতে নেওয়া হয় না; বেশিরভাগ সময় এটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সরকারি কর্তৃপক্ষের নিজস্ব দ্রুত চিন্তার ফসল। তাই আকস্মিক পরিবর্তনগুলো প্রায়ই শিক্ষাবান্ধব হয় না। তাই তা শেষ পর্যন্ত শিক্ষার গুণগত উন্নয়নের জন্য সহায়ক নয়।