ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক রদবদল হয়। আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতিসহ ছয় বিচারপতি। দায়িত্ব ছাড়েন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তাও। এরপর হাইকোর্ট বিভাগে দুই ডজনের বেশি বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে আইনজীবীদের একটি অংশ। ২০ অক্টোবরের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে ওইসব বিচারপতির আদালত বর্জনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইনজীবীরা।
এরইমধ্যে গত ৬ অক্টোবর একটি গণমাধ্যমে “রায় দিয়ে ‘বাবার ট্রাস্টে’ টাকা নেন বিচারপতি” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এবং সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে আলটিমেটাম দেওয়া হয়। পদত্যাগ না করলে ওই বিচারপতিদের বিচারকাজে অংশ নিতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এর আগে গত ৮ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে উচ্চ আদালতের ৫৬ জন বিচারপতির অপসারণ দাবি করেন আইনজীবীরা।
এদিকে গত ৫ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে অন্তত ৩০ জন বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। ৩০ বিচারপতির নামের তালিকাও ঘুরছে হাতে হাতে। এছাড়া তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে গত ৭ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয় এবং মানববন্ধন করা হয়।