দেবী দুর্গার বিদায় বেলায় সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন বাঙালি বধূরা। হিন্দুশাস্ত্র মতে, মহিলারা স্বামীর মঙ্গলকামনার জন্য সিঁথিতে সিঁদুর পরেন। হিন্দু ধর্মে বলা হয়, স্বামীর দীর্ঘ জীবনের কামনা করেই মহিলারা সিঁদুর পরেন। লাল রং শক্তি ও ভালবাসার প্রতীক বলেও মনে করা হয়। কিন্তু শুধু কি এটুকুই? জেনে নিন, ঠিক কী কারণে সিঁদুর পরার চল রয়েছে। অনেকেই আবার বলেন থাকেন, শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেবতা বিরাজমান থাকেন। স্বয়ং ব্রহ্মা কপালে অধিষ্ঠান করেন। ব্রহ্মাকে সম্মান জানাতে ও তুষ্ট রাখতে বিবাহিত মহিলাদের কপালে সিঁদুর পরেন। তবে কেবলই কি স্বামীর মঙ্গলকামনার্থে সিঁদুর পরা হয়, না কি সিঁদুরের স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে?
সাধারণত হলুদ, চুন, চন্দন এবং খুব অল্প পরিমাণে পারদ ব্যবহার করে সিঁদুর তৈরি করা হয়। মূলত, লাল রংকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করে পারদ।
আয়র্বেদ শাস্ত্রে হলুদ ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ওষুধ তৈরির কাছে। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, মানসিক চাপ কমাতে, উদ্বেগ কমাতে, অবসাদ কমাতে হলুদের ভূমিকা রয়েছে। আমেরিকান জার্নাল অফ জেরিয়াট্রিক সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে যে হলুদের মূল উপাান কারকিউমিন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, বয়সজনিত কারণে স্মৃতিলোপের হাত থেকেও রেহাই পেতে সাহায্য করে এই যৌগ। অন্য দিকে চন্দন তার শীতল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এর সুবাস মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে। চন্দনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণও রয়েছে।