বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ১ হাজার ৫৮১ জন নিহত হয়েছেন। এর প্রতিটি হত্যার বিচার হওয়া জরুরি। কিন্তু মামলাতেই যদি গলদ থাকে, তাহলে বিচার হবে কী করে?
প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অনেক মামলার বাদীকে চেনেন না ভুক্তভোগীর পরিবার, অনেক মামলায় মৃত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। আবার কোনো কোনো মামলায় ৫ আগস্ট ক্ষমতা পরিবর্তনের পর আসামির তালিকা সংশোধন করা হয়েছে। বিএনপি–জামায়াতের নেতাদের স্থলে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী–এমপিদের নাম এসেছে।
আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে একটি হত্যার ঘটনায় আসামিদের তালিকার ৪ নম্বরে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে মো. মাহবুব হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তখনো পর্যন্ত তিনি সাবেক হননি। যখন বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হলো বাদী মো. নাদিম ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মো. মাহবুব হোসেনের নাম প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘ভুলবশত’ তাঁর নাম এসেছে।