শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) শেয়ার নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড ঘটেছে। কয়েকজন প্রভাবশালী শেয়ারধারীকে বিশেষ সুবিধা দিতে আনুষ্ঠানিকতা শেষ না করেই তড়িঘড়ি করে তাদের মধ্যে নতুন শেয়ার বণ্টন করা হয়েছে। কম দামে কেনা এসব শেয়ার বাড়তি দামে বাজারে বিক্রি করে বিপুল মুনাফার সুযোগ দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। আর এই পুরো প্রক্রিয়ায় বঞ্চিত করা হয়েছে কোম্পানির অন্যতম মালিক সরকারি তিন প্রতিষ্ঠানকে।
শেয়ার বণ্টন করা হয়েছে গত ২ অক্টোবর। অথচ সেটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে শেয়ারধারীদের জানানো হয় ৮ অক্টোবর। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্য সংবেদনশীল তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানানোর বিধান থাকলেও কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কিছু ব্যক্তিকে শেয়ার বিক্রির বাড়তি সুবিধা করে দিতে তা ছয় দিন পরে প্রকাশ করে।
কোম্পানিটির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মূলধন বাড়াতে এনটিসি প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিদ্যমান শেয়ারধারীদের মধ্যে নতুন ২ কোটি ৩৪ লাখ শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেয়। গত বছরের এপ্রিলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিষয়টি অনুমোদন করে। প্রতিটি শেয়ারের বিক্রয়মূল্য নির্ধারিত হয় ১১৯ টাকা ৫৩ পয়সা।
১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুর সঙ্গে ১০৯ টাকা ৫৩ পয়সা অধিমূল্য বা প্রিমিয়ামসহ এ দাম নির্ধারণ করা হয়। প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিদ্যমান শেয়ারধারীদের মধ্যে একটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে প্রায় তিনটি নতুন শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত হয়। পরিকল্পনা ছিল, নতুন এই শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ২৮০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।