ভোজনপ্রিয় মানুষের কাছে যেমন লোভনীয় ইলিশ, তেমনি অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষের কাছে মোহনীয় হতে পারে ডুবোচর। আর এই দুটিরই সমাহার দেখতে হলে আসতে হবে ভোলার মেঘনা নদীতে। তবে আগেই বলে রাখা ভালো, আসার পর কিন্তু ছুটে যেতে পারে সব রোমাঞ্চ। কারণ, এখানে ঘটে চলেছে মন খারাপ করা সব ঘটনা।
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে এবং মানুষের অবিবেচক-অবৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ডে সৃষ্টি হচ্ছে ডুবোচর। সেই চরে বাধা পেয়ে ইলিশ যাচ্ছে ভিন্ন পথে। ডিম ছাড়ছে ‘অন্য বাড়িতে’। সেই ডিম ফুটে বের হওয়া ছানাপোনারা খাবারের খোঁজে এসে জড়ো হচ্ছে ডুবোচরগুলোয়। আসছে অন্য মাছের পোনারাও।
তখন আবার সেই মাছের লোভে দলে দলে ছুটে আসেন অসাধু মৎস্য কারবারিদের ভাড়াটে জেলেরা। তাঁরা বাছবিচার ছাড়াই মেতে ওঠেন মাছ শিকারে। ক্ষতিকর নিষিদ্ধ জাল ফেলে ডুবোচরে ও আশপাশের নদীতে আশ্রয় নেওয়া ধরা নিষিদ্ধ এমন সব ছোট মাছ ধরে নিয়ে যান। সঙ্গে বড় ও মাঝারি মাছও ধরা পড়ে।
ওই জালে আরও ধরা পড়ে অন্যান্য প্রজাতির মাছ, জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের রেণু-পোনা। জালে আটকে সেগুলো অকালেই মারা পড়ে। রেহাই পায় না চাপিলা-জাটকা-ছোট আকারের ইলিশও। সেগুলো ধরে নিয়ে তুলে দেওয়া হয় আড়তদারের হাতে।