প্রযুক্তির এই যুগে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম মুঠোফোনের খুদে বার্তা। খুব সহজ ব্যাপার হলেও কিন্তু কারও সঙ্গে খুদে বার্তা আদান–প্রদান করার সময় আদবকেতার কিছু দিক মেনে চলা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, সামনাসামনি দেখা না হলেও এখানে কিন্তু অপরের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি হয়, বাধতে পারে বিপত্তি। ধরুন, কেউ আপনার সঙ্গে খুদে বার্তা আদান–প্রদান অর্থাৎ, চ্যাট করতে করতে হঠাৎ ‘হাওয়া’ হয়ে গেলেন। অথচ আপনি হয়তো বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই তাঁর সঙ্গে কোনো বিষয় আলাপ করছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই এতে আপনি বিরক্ত হতে পারেন। কথা শেষ না করে হুটহাট ‘হারিয়ে’ যাওয়াটা যেমন বিরক্তিকর, তেমনি কাউকে সামনে রেখে অন্য কারও সঙ্গে চ্যাট করাও উচিত নয়। খুদে বার্তা পাঠানোর সময় কীভাবে ভদ্রতা বজায় রাখা উচিত, তা হয়তো সবারই জানা। কেবল ঠিক জায়গায় নিজের সেই জ্ঞান প্রয়োগ করা হয়ে ওঠে না অনেকেরই। চলুন, মনে করিয়ে দেওয়া যাক, খুদে বার্তা আদান–প্রদানের কিছু আদবকেতা।
হুটহাট ‘হাওয়া’ হয়ে যাবেন না
যে প্রসঙ্গে আলাপ করছেন, তা শেষ করুন। কথা শেষ করে বিদায় সম্ভাষণ জানান। তবে চ্যাটের মাঝখানে আপনার যেকোনো কাজে যাওয়ার প্রয়োজন পড়তেই পারে, সে ক্ষেত্রে অপরজনকে জানিয়ে দিন যে আপনি কাজে যাচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ বার্তা আদান–প্রদানের মধ্যে এমনটা হলে দুঃখ প্রকাশ করাটাও ভদ্রতা। চ্যাটে যদি তর্কও হয় এবং স্বাভাবিকভাবেই আপনি তর্ক এগিয়ে নিতে অনিচ্ছুক হন, তবু এটুকু জানিয়ে দিন যে আপনি আর আলাপ করতে আগ্রহী নন।