বাজেটে অর্থের জোগান দিতে করবহির্ভূত রাজস্ব (এনটিআর) আদায় বৃদ্ধির বিষয়ে মনোযোগী হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি ‘নন-এনবিআর কর–রাজস্ব’ হিসেবে পরিচিত এনবিআর–বহির্ভূত কর–রাজস্ব আদায়ও এ সরকার বাড়াতে চায়।
এমন সিদ্ধান্তের অর্থ হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থা ফি বা মাশুলের বিনিময়ে মানুষকে যেসব সেবা দেয়, সেগুলো থেকে আয় বাড়বে। সরকারি ভাষায় বিষয়টি এভাবে বলা হয়েছে, ‘সেবার মাশুল তিন বছর পরপর অথবা প্রয়োজনের নিরিখে যথাসময়ে হালনাগাদ হবে।’ তবে সেগুলো করা হবে সেবা দেওয়ার খরচ, জীবনযাত্রার মান, মূল্যস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় বিবেচনায় রেখে।
এনটিআর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড–বহির্ভূত (নন-এনবিআর) কর–রাজস্ব সংগ্রহ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কথা বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গত রোববার একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, এনটিআর ও নন-এনবিআর রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা আছে। এ দুটি উৎস থেকে আদায় বৃদ্ধির জন্য একটি সময়োপযোগী নির্দেশিকা প্রণয়নের দরকার ছিল, সেটাই এখন করা হলো।