সেনাবাহিনীর আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অধীনে রয়েছে হোটেল, গলফ ক্লাব, ফিলিং স্টেশন, ব্যাংক, শপিং কমপ্লেক্স ও পরিবহন ব্যবসা। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় এসে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের স্বার্থ ও কল্যাণে ১৯৯৮ সালে এ ট্রাস্ট গঠন করে। পাশাপাশি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা ও মোংলায় সিমেন্ট কারখানা নির্মাণসহ ব্যবসার জন্য বেশকিছু সুযোগ করে দেয়া হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২০০৯ সালে যুক্ত হয় হোটেল ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে। ২০২১ সালে যাত্রা করে আর্মি ফার্মা লিমিটেড
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পরে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে অনুসরণ করেন পাকিস্তানের কৌশল, যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয় দেশটির সেনাবাহিনীকে। এতে বেশ সফলও হন জেনারেল এরশাদ। শেখ হাসিনা সরকারও এরশাদের সে নীতি অনুসরণ করে, যা দীর্ঘ দেড় দশক শাসনক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন অবসরপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা। তাদের মতে, সেনাবাহিনীকে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে জেনারেল এরশাদের চেয়েও কয়েক গুণ ছাড়িয়ে যান শেখ হাসিনা।