সম্পর্কে বিশ্বাসঘাতকতা হলো প্রতারণার একটি রূপ, এটি নিজের সঙ্গী ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে মানসিক বা শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় প্রবেশ করাকে বোঝায়। এটি অবশ্যই বিশ্বাসের লঙ্ঘন যা সঙ্গীর আবেগে কঠোরভাবে আঘাত করে। অনেকেই আছেন যারা না বুঝেই সঙ্গীকে সন্দেহ করেন। অনেকে আবার চোখের সামনে প্রমাণ পেয়েও বুঝতে পারেন না। সবাই যে একই উপায়ে প্রতারণা করে, তা কিন্তু নয়। তবে কিছু বিষয় মিলে যেতে পারে। তাই কয়েকটি লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে হবে-
অস্বাভাবিক মিষ্টি আচরণ
আপনার স্বামী কি হঠাৎই অত্যধিক মিষ্টি আচরণ করছে এবং আপনার প্রতি আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার অভিনয় করছে? কিন্তু আপনার কোথাও একটা অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে? এটি আপনার জন্য একটি সতর্কতা হতে পারে। সে এই ধরনের কাজ দ্বারা অপরাধের জন্য ক্ষতিপূরণ বা বাস্তব পরিস্থিতি থেকে আপনার মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করতে পারে। তবে এটুকু দেখেই কোনো সিদ্ধান্তে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, শুধু এই পরিবর্তনের কারণটা বোঝার চেষ্টা করুন। যদি সত্যিই তার ইতিবাচক পরিবর্তন হয় তবে অযথা সন্দেহ করে জীবনে ঝামেলা বাড়াবেন না।
মোবাইল বা ল্যাপটপ নিয়ে অতিরিক্ত সতর্ক
যদি আপনার স্বামী তার সেলফোন বা ল্যাপটপ নিয়ে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি সতর্ক হয়ে ওঠে, তবে আপনি তাকে বিশ্বাসঘাতকতার সন্দেহ করতে পারেন। পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা, সব সময় তার ডিভাইসগুলোকে লক করে রাখা এবং আপনি কখনো তার কোনো ডিভাইস ব্যবহার করতে গেলে রক্ষণাত্মক হয়ে ওঠার মানে তার লুকানোর কিছু আছে।