পরিসংখ্যান সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রায়ই বলা হয়, তথ্য-উপাত্তই হচ্ছে শক্তি। সেই প্রসঙ্গের সূত্র ধরেই অনেকে বলেন, সংখ্যা কখনো মিথ্যা বলে না। কথাটা কিন্তু ঠিক নয়। যে তথ্য-উপাত্ত সঠিক নয়, সংখ্যাকে যেখানে কোনো স্বার্থসিদ্ধির জন্য প্রভাবিত করে বাড়িয়ে বা কমিয়ে উপস্থাপন করা হয়, তখন সংখ্যা কিন্তু সত্যের প্রতিনিধিত্ব করে না। ব্যাপারটি ব্যক্তি জীবনে কর ফাঁকির ক্ষেত্রে ঘটতে পারে, আবার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নানা ধরনের সূচকসংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে। কেউ কেউ বলতে পারেন তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যানের এ বিশুদ্ধতা নিয়ে এত বাকবিতণ্ডা কেন? এটি কি শুধু একটি নৈতিকতার ব্যাপার, নাকি এর একটি বৃহত্তর কার্যকর প্রেক্ষিত আছে?
জাতীয় জীবনে উপাত্তের তিনটি সুনির্দিষ্ট ভূমিকা আছে। প্রথমত, কোনো দেশের নীতিমালা প্রণয়নের জন্য উন্নয়ন কৌশল গড়ে তুলতে হলে সঠিক তথ্য-উপাত্ত অপরিহার্য। একেবারে শূন্য থেকে বাস্তব অবস্থা বিবেচনার মধ্যে না নিয়ে পরিকল্পনা করা যায় না, নীতিমালা প্রণয়ন করা যায় না এবং উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ করা যায় না। তথ্য-উপাত্ত হচ্ছে সেই ভিত যার ওপর পরিকল্পনা, নীতিমালা ও কৌশলের গৃহ নির্মিত হয়। সেই ভিত যদি সঠিক না হয়, সে ভিতে যদি ফাঁকফোকর থেকে যায়, তাহলে পরিকল্পনা, নীতিমালা ও কৌশলও ত্রুটিপূর্ণ হবে এবং কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাবে না।