গোয়ালিয়রের ছেলে গোবিন্দকে ‘উইকিপিডিয়া’ বলাই যায়। শহরের কোথায় কোন দর্শনীয় জায়গা আছে, তা একেবারে মুখস্থ। ট্যাক্সি চালানোর পাশাপাশি একটু বাড়তি আয়ের জন্য তিনি আধার কার্ড ও জন্মনিবন্ধন সংশোধনের কাজ করে দেন। কাজের কারণেই নাকি শহরের খুঁটিনাটি সব তথ্য তাঁর জানা।
ভারতের অন্যান্য শহরের সঙ্গে গোয়ালিয়রের পার্থক্যটাও তাঁর সৌজন্যেই পাওয়া। এই শহরের ছেলেমেয়েরা নাকি সবাই সরকারি চাকরিজীবী হতে চান। অন্যরা অভিনেতা কিংবা পরিচালক। গাড়ি চালানোর সময়ই তিনি এই শহরের নায়িকা রাভিনা টেন্ডনের বাড়ি দেখাচ্ছিলেন। গোয়ালিয়রে কয়জন পরিচালক আছেন, তা–ও জানালেন।
সরকারি চাকরি আর বলিউড–স্বপ্নের কারণেই নাকি গোয়ালিয়রে ক্রিকেটের উচ্চাশা এখনো ঢোকেনি। তাই এই শহর থেকে কোনো ভারতীয় দলে খেলা ক্রিকেটার তো দূরের কথা, আইপিএল খেলা ক্রিকেটারও বের হয়নি।