দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসনের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো গোষ্ঠীশাসনতন্ত্র (Oligarchy)। গোষ্ঠীশাসনতন্ত্র গড়ে ওঠে গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরবিন্যস্ত ক্ষমতার ওপর ভর করে। এ স্তরবিন্যস্ত ক্ষমতার বলয়ে সর্বদাই বংশমর্যাদা, সম্পদ, পারিবারিক ঐতিহ্য, শিক্ষা ও ব্যবসায় অগ্রগামী শ্রেণির কাছে রাজনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে বিত্তশালীদের আধিপত্যে প্রযোজিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় এ প্রকার গোষ্ঠীশাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
যদিও বাংলাদেশ সর্বদাই ধর্মীয় এবং সামরিক গোষ্ঠীশাসনতন্ত্রের ঝুঁকিতে রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যমান গোষ্ঠীশাসনতন্ত্রের জাল দেশের সব অনানুষ্ঠানিক, আধাআনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠানে বিস্তৃত রয়েছে, যেখান থেকে বিভিন্ন প্রভাবশালী গোষ্ঠী তোলা, চাঁদা, কমিশন ও ঘুস ইত্যাদির মাধ্যমে জনগণকে অব্যাহতভাবে শাসন ও শোষণ করে থাকে।